স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সনে এজি (সিভিল) নামে সিজিএ কার্যালয় যাত্রা আরম্ভ করে। পূর্বতন এজি (সিভিল) কার্যালয়টি ১৯৮৫ সালে অর্থ বিভাগের এক মেমোরেন্ডাম-এর মাধ্যমে কন্ট্রোলার জেনারেল অব একাউন্টস, বাংলাদেশ (সিজিএ) নামকরণ করা হয়। উক্ত মেমোরেন্ডাম-এর মাধ্যমে সকল মন্ত্রণালয়ের হিসাব সুষ্ঠুভাবে সংকলনের লক্ষ্যে হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অধীন ২০টি প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় সৃজন করা হয়। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক নির্ভুলভাবে হিসাব প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ২০০২ সালের ১লা জুলাই ৫১টি প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় (সিএও) এবং আঞ্চলিক হিসাব রক্ষণ অফিস (আরএও) সমূহ বিলুপ্ত করে ৬টি বিভাগে বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক-এর কার্যালয় (ডিসিএ) প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৬টি বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক (ডিসিএ) কার্যালয়ের মধ্যে বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক (ডিসিএ) এর কার্যালয়, চট্টগ্রাম অন্যতম। এর পূর্বে এই কার্যালয় আঞ্চলিক হিসাব রক্ষণ অফিস (আরএও) এবং তারও আগে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস (ডিএও) নামে পরিচিত ছিল। স্বাধীনতার পূর্বে পূর্ব পাকিস্তান এজি’র নিয়ন্ত্রণাধীন জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস (ডিএও) প্রতিষ্ঠা হলেও ১৯৬৫ সালে সর্বপ্রথম চট্টগ্রামে ডিএও অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়।
সরকারের প্রশাসনিক নানা সংস্কারের মধ্য দিয়ে ডিএও, আরএও থেকে বর্তমানে ডিসিএ হিসেবে বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক (ডিসিএ) কার্যালয়, চট্টগ্রাম নামে এই কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।
বর্তমানে ডিসিএ, চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণে ১০টি জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস (ডিএও) এবং ৯১টি উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস (ইউএও), সরকারের প্রি-অডিট এবং বাজেটের হিসাব রক্ষণের কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়ে আসছে। ডিসিএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত সরকারি অফিসসমূহের বিল প্রি-অডিট এবং হিসাব সংরক্ষণ করা হয়। ডিসিএ, চট্টগ্রাম প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে তার নিয়ন্ত্রণাধীন ১০২টি পে-পয়েন্টের হিসাব অনলাইনের মাধ্যমে হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ) কার্যালয়ে প্রেরণ করে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস